Guest Post By: Ms. Swati Ghatak
Retd. Educationist, Lucknow
আজকাল প্রায় ই একটা কমন দৃশ্য সকাল বেলায় সব বাড়িতে ই দেখা যায়।ছোট বড় সব ছেলে মেয়েরা নয় Laptop নয় Mobile এর সামনে কানে লিড লাগিয়ে স্থানুর মত বসে,সকাল ৯ ত থেকে দুপুর ২ দুটো পর্যন্ত। যদি ১০ এর নিচে বয়স হ্যই তবে সাথ এ মা বা অন্য কেউ থাকে যে Computer চালাতে জানে,যদিও তার নিজের কাজকর্মের ১২ টা বেজে যায়…অনেক ক্ষেত্রে মা কে কাজ থেকে অবসর নিতে বাধ্য হতে হোয়েছে এই কারণে যদিও তাতে সংসারে অর্থ সমস্যা দেখা দিয়েছে..অন লাইন ক্লাস এ টিচার এর Non-Stop Verbalization, অন্যদিকে একটু অন্যমনস্ক হলেই বড়দের চোখ রাঙানি,- এই দুয়ের মাঝে পড়ে ওদের প্রাণ অশ্ঠআগত..ওরা ধীরে ধীরে যন্ত্রে পরিনত হচ্ছে..এত লম্বা সময়ের জন্যে ওরা কি এত টেনশন নিতে পারবে? এ ছাড়া চোখ নিয়ে অনেকেরই সমস্যা ইতিমধ্যে ই দেখা দিয়েছে…
প্রতিদিন Teacher এক টি করে লেসন পরিয়ে যাচ্ছেন এবং নিজের ডিউটি সারছেন,,কিন্তু ওইটুকু সময়ের মধ্যে সব ছেলেমেয়েরা কি ত অনুধাবন করতে পারছে,সবার ইন্টেলিজেন্স লেভেল তো এক নয়…একটু মনোযোগী টিচার রেগুলার ক্লাসে ত অনায়াসেই বুঝে ফেলেন…এবং তৎক্ষণাৎ তার বিকল্প ও খুঁজে ফেলেন…Remidial ক্লাস এর প্রয়োজন হওই না.
পড়াশোনা মনে তো শুধু বইপড়া বিদ্যা পাওয়া নওয়ে.. সহপাঠী দের সঙ্গে খেলা ধুলা,কথা বার্তা..সবকিছু ভাগ করে নেওয়া,ন্যায় অন্যায় বিচার করতে শেখা… অন্যের আনন্দে আনন্দিত হওয়া দুঃখে ভাগীদার হওয়া, এইসব কিছু দরকারি তাদের শারীরিক এবং মানসিক ভাবে পূর্ণ বিকশিত হতে… এই করোনা কালে আমাদের ছেলে মেয়েরা এই বিকাশ পদ্ধতি থেকে পুরোপুরি ভাবে বঞ্চিত থাকতে বাধ্য হচ্ছে..এছাড়া ছোটো বাচ্চাদের সময়মতো স্কুলে যাওয়া এবং একটা নির্দিষ্ট ডিসিপ্লিন এর মধ্যে থাকার অভ্যাস টাও হারিয়ে যাচ্ছে…একটা সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা র জন্যে এটা অনুশীলন করা খুবই দরকারি.. সেটা আমরা সবাই স্বীকার করি।
আরেকটা দিকের প্রতি আমাদের দৃষ্টিপাত না করলে বোধ হয় অন্নায় করা হবে..এই মহামারীতে অনেকের চাকরি চলে গেছে,,.. দআরিদ্র সীমা রেখার নিচে থাকা এমন অনেক অভিভাবক দুবেলা দুমুঠো অন্ন জোগাড় করতে গিয়ে ছেলেমেয়েদের স্কুল এ পাঠানো বন্ধ করে দিয়ে ছেন..আর কি ভবিষ্যতে তারা স্কুল এর মুখ দেখতে পাবে..না পেটের তাড়নায় ওরাও রোজগারের পথ বেছে নেবে,? পরিজাই শ্রমিকদের ছেলেমেয়েরা বড়ো শহরে র রীতি মেনে অন্তত সরকারি স্কুল এর মুখ দেখতে পেত… এখন গ্রামে ফিরে আবার অন্ধকার জগতের বাসিন্দা হতে বাধ্য হইছে.আর কি তারা কোনোদিন শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে পারবে।
তাহলে প্রধান মন্ত্রী মোদী জীর পরিকল্পনা অনুযায়ী 2025সালের মধ্যে সব বাচ্চারা প্রাইমারী শিক্ষার অন্তর্গত হবে কেমন করে আবার অন্যদিকে রিটায়ারমেন্ট এর কাছাকাছি এসে যাওয়া টিচার দের এই অনলাইন এডুকেশন দিতে গিয়ে ল্যাপটপ প্রযুক্তি আয়ত্বে আনতে গিয়ে যথেষ্ট বিড়ম্বনা র শিকার হতে হচ্ছে,.অনেকেই ইতিমধ্যে স্বেচ্ছা অবকাশ নেয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছেন…এত কথা বলার পর এই প্রযুক্তি র অন্য বিকল্প যে নেই..তাও বুঝে নিতে কোনো অসুবিধে হই না,…কারণ একটাই …কোনো মতেই শিক্ষার্থী দের একটা অ্যাকাডেমিক সেসন তো নষ্ট হতে দেওয়া যেতে পারে না..অতএব আমাদের ছোট্ট সোনা মনিরা যান্ত্রিক হয়ে ই বেঁচে থাক ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে সুস্থ্য সবল থেকে।
Translated as:
Nowadays, a common sight is seen in all the houses in the morning. Not only small boys and girls, but the bigger ones are seen sitting in front of a laptop or with a mobile phone with ear plugs on their ears, right from 9am to 2pm. If they are under the age of 10, then there is a mother or someone else who knows how to operate a computer is found sitting with the child even if her daily house chores suffer due to this routine.
In many a cases, the mother has been forced to leave her job causing financial problems in the family.
The non-stop verbalization of the teacher in the online classes on the other hand if they get distracted they invite admonishment from the parents. Which is making their life difficult.
They are slowly becoming robotic. Can they take so much strain for such a long time? In addition, many have already started getting eye problems.
Every day the teacher is taking one lesson at a time and doing his/her duty, but in that small span of time it becomes difficult for most of the children to catchup with the main stream, do we realize that not everyone has the same intelligence level.
In a regular class, an experienced teacher understands effortlessly, when is a student is attemtive and when the attention span is lost. The teacher immediately finds alternatives. Mostly there comes no need for a remidial classes for the less performing ones in the class.
Studying does not mean just reading books, it also includes playing with classmates, talking, sharing everything, learning to judge right and wrong, rejoicing in the joys of others, sharing sorrows and all these are necessary for them to develop the children physically and mentally. In this corona period, children are being forced to be completely deprived of this developmental method. Besides this the habit of young children to go to school on time and to stay within a certain discipline which is very important for a healthy normal life, is what we all agree to.
It seems that we will be starved if we look at the other side of the situation. Many jobs have been lost in this pandemic. In the future, whether the poor children will ever be able to go to a school, is a big question. The children belonging to the economically weaker class and daily wagers, till now could at least go to the government school, they putting up in big cities. Now they are forced to return to their native places which are mostly rural areas, and live in the dark world again. Will they ever be enlightened in the light of education?
How can all children be included in primary education by 2025 according to Prime Minister Modi’s plan? After pondering so long … I have no problem understanding that there is no other alternative to this technology. There is only one solution to the current problem, that is in no way an academic session of students can be allowed to go to waste. So may our little ones become machine-driven but survive from the healthy, safe and strong walls of the house.
Disclaimer: The contents above are the personal opinions and views of the author. It does not necessarily represent the views and opinions of the website